ধর্মের কথা

রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০

আমার নাম অভিজীত্‍ সরকার। বাড়ি দিনাজপুর জেলার সেতাবগন্জ থানায়। এবং একজন সনাতন ধর্মীয় মানুষ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমি আমার ধর্ম সম্বন্ধে খুব কমই জানি। বাস্তবে আমি কোন ধর্ম সম্বন্ধেই বেশি কিছু জানি না। কিন্তু মাঝে মাঝে ধর্ম সম্পর্কে যেসব চিন্তা-ভাবনা আমার মাথায় আসে সেইসব কথা আমি এখানে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। আমি কোন লেখক নই, নই কোন ধর্ম বিশেষজ্ঞ তাই আমার এই অগোছানো লেখা গুলো আপনাদের কাছে পড়তে এবং বুঝতে একটু সমস্যা হতে পারে। আর একটা কথা ধর্ম সম্বন্ধে নিচের লেখাগুলোতে আপনাদের জানা মতে যদি কোন ভূল পেয়ে থাকেন দয়াকরে আমাকে জানাবেন। আর এই লেখাটির কোন অংশই অন্য কোন ধরনের ধর্মগ্রন্থ অথবা কোন বই থেকে কপি করা নয়। এখানে আমি শুধু আমার মনের
ভেতরের লুকায়িত সব প্রশ্ন ও উওরগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। তাই এখানে কোন ভূল বাক্য পেলে দয়াকরে সেটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।



মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে পরিচিত। কারন মানুষের যা করার ক্ষমতা রয়েছে অন্য কোন জীবের পক্ষেই তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগে যা অকল্পনীয় যা অবাস্তব তাই আজ বাস্তব হতে চলেছে। বর্তমানে মানুষের দ্বারা তৈরি আবিষ্কার এর কথা বলে শেষ করা যাবে না। কারন পৃথিবীতে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার বস্তু আবিষ্কৃত হচ্ছে। এই আবিষ্কারগুলোর মধ্যে ধর্মের আবিষ্কার অনেক উল্লেখযোগ্য। এখন আসি ধর্ম আসলে কাকে বলে? ধর্মের বাস্তব অর্থই বা কি? ধর্ম কে সৃষ্টি করেছে আর কিসের জন্যই বা সৃষ্টি করেছে? এসব কিছু নিয়েই আমি আজ আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত পৃথাবিতে যা কিছু আবিষ্কৃত হয়েছে তার সবকিছুই শুধুমাত্র মানুষ তার সূখের জন্য, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য, পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্যই তৈরি করেছে। আপনারা ভাবতে পারেন সবকিছু বলতে তো যুদ্ধাস্ত্রের কথাও বলতে হয় তবে কি এগুলোও শান্তির জন্য নাকি? হ্যা এসব আবিষ্কারই শান্তির জন্য তৈরি করা হয়েছে এসব বিস্ফোরক ও গুলির কথা একটু ভেবে দেখুন তো এগুলো ঠিক কি কাজে ব্যবহৃত হয়? এগুলো ব্যবহৃত হয় নিজের আত্নরক্ষার কাজে, শক্রুদের দমন করতে, নিজের মাতৃভূমিকে বাচানোর তাগিদেই মূলত এসব বিস্ফোরক আবিষ্কৃত হয়েছে। ধর্মের আবিষ্কারটিও